বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান রোববার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মো. জাহিদুল ইসলাম ফরাজী (৩২) পেশায় ছিলেন দিনমজুর। তিনি শরণখোলা উপজেলার উত্তর বাধাল গ্রামের আবজাল ফরাজীর ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
“২০০৫ সালের ১৩ মার্চ রাতে দুজনের বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জাহিদুল স্ত্রীকে মারধর করলে আছিয়া মারা যান। এরপর জাহিদুল স্ত্রীর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।”
ওই ঘটনায় মংলা থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। কিন্তু লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উঠে এলে মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
তদন্ত শেষে মংলা থানার উপপরিদর্শক আবুল হোসেন ২০০৬ সালের ৬ মার্চ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।