খালেদাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ

খালেদা জিয়ার আবেদনে দুটি দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর তাকে হাজির হতে বলেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2014, 07:15 AM
Updated : 27 July 2014, 10:04 AM

রোববার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বসানো অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় এই আদেশ দেন।

‘জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট’ ও ‘জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য রোববার দিন ধার্য থাকলেও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এদিন আদালতকে বলেন, মামলা দুটির বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাদের করা আবেদন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই কারণ দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেয়ার আবেদন করেন তারা।

শুনানি শেষে বিচারক আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য  গ্রহণের জন্য দিন রেখে ওই দিন আপিল বিভাগের আদেশ দাখিল করতে অথবা খালেদাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এ দুটি মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এর মধ্যে এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদা ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জন এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো তিনজন আসামি হিসাবে রয়েছেন।

ফাইল ছবি

ওই অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আসেন খালেদা। সেখানে তার আবেদন খারিজ হওয়ার পর এ বিষয়ে আপিল বিভাগে দুটি আবেদন করেন তিনি।

২০১১ সালের ৮ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করে।

এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।