বৃহত্তম ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

প্রতি ঈদের মতো এবারো দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এর সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঈদগাহ কমিটি।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2014, 06:22 AM
Updated : 27 July 2014, 06:49 PM

এবারো ঈদ-উল-ফিতরের জামাত পরিচালনা করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ঈদের দিন সকাল ১০টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ইতোমধ্যে জামাতের কাতারের লাইন টানা, মাঠ পরিষ্কার করা, ধোয়ামোছা ও রঙয়ের কাজসহ সব প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি ট্রেন সকাল পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং অপর ট্রেনটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।

নামাজ শেষে ট্রেন দুটি বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ কমিঠির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম আলম জানান, মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান জানান, নিরাপদে জামাত অনুষ্ঠানের জন্য নেয়া হয়েছে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদের দিন মাঠ ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক পুলিশ ।

“মাঠের প্রতিটি প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে আগত মুসল্লিদের। নাশকতা মোকাবেলায় ওয়াচ টাওয়ার এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।”

মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন।

স্থানীয় গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৮২৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে পরিণত হয়েই এসেছে আজকের ‘শোলাকিয়া’।

বিশাল এই মাঠে কাতার রয়েছে ২৬৫টি। প্রতি কাতারে ৫ শতাধিক মুসল্লি নামাজে অংশ নিতে পারেন। তবে মাঠের বাইরে আশে পাশের এলাকা জুড়ে জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লি¬র মিলিয়ে এই সংখ্যা আড়াই থেকে তিন লাখ ছাড়িয়ে যায়।

শোলাকিয়া মাঠ জামে মসজিদের ইমাম লুৎফর রহমান গোলাপ বলেন, লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে বিশাল জামাতে দোয়া কবুল হয় - এ বিশ্বাসের কারণেই মুসল্লিরা দূর দূরান্ত থেকে এই মাঠে ছুটে আসেন।