যুবলীগকর্মী খুন, শরীয়তপুরে তাণ্ডব

শরীয়তপুর সদরের এক যুবলীগকর্মী অপহরণের পর হত্যার খবরে তার এলাকায় সংগঠনটির দুগ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2014, 03:47 PM
Updated : 26 July 2014, 03:47 PM

শনিবার বিকালে সংঘর্ষ চলাকালে দুপক্ষ লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে। এ সময় পাঁচটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শরীয়তপুর সদরের চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের সিরাজ মাদবরের ছেলে যুবলীগকর্মী লোকমান মাদবরকে শুক্রবার সকালে ঢাকার মীরপুর এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।

শনিবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কোরানীগঞ্জের টেগুরিয়ায় রাস্তার পাশে একটি ঝোপে লোকমানের লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তার সঙ্গে থাকা একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পরিচয় জানা গেছে বলে ওসি জানান।

শরীয়তপুর সদরের সন্তোষপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই এহসান কবীর জানান, যুবলীগকর্মী লোকমান মাদবরকে শুক্রবার সকালে ঢাকার মীরপুর এলাকা থেকে কে বা কাহারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়।

এ খবর শরীয়তপুরের সন্তোষপুর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিকালে নিহত লোকমান মাদবরের সমর্থক ও আত্মীয়-স্বজন মিলে শতাধিক লোক অস্ত্রশস্ত্র ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক সন্তোষপুর গ্রামের দুলাল বেপারী, ফজলু বেপারী, জয়নাল মাদবর, খোকন বেপারী, নুরুজ্জামান মাদবর, জাহাঙ্গীর মাদবর, হাফেজ মাদবর, সুলতান মাদবর ও ধলু মাদবরের বাড়িতে হামলা করে পেট্রোল দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এতে ১৩টি ঘর ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শরীয়তপুর থেকে ফায়ার সাভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এতে অন্তত ২০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

এসআই এহসান জানান, খবর পেয়ে শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ, সহকারী পুলিশ সুপার মীর আবদুস ছাত্তার ও পালং মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান খান ঘটনাস্থাল পরিদশন করেছেন।

এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে আক্রমণের শিকার ধলু মাদবর বলেন “ঢাকায় লোকমান মাদবরকে কে বা কাবা হত্যা করেছে সংবাদ শুনে তার সমর্থকরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পেট্রোল দিয়ে ১৩টি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।