শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে।
হামলা বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলের অনুরোধ উপেক্ষা করে ইসরায়েলি বাহিনীর এই আক্রমণের প্রতিবাদ চলছে সারা বিশ্ব জুড়ে, হামলা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এর মধ্যেই কিছু দিন আগে একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলী বাহিনীর হামলার জন্য বিএনপির ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছেন হাছান মাহমুদ।
ওই সংবাদ প্রকাশের পর এক দলীয় কর্মসূচিতে হাছানকে ‘অর্বাচীন বালক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “যারা ইসলামের কথা বলে রাজনীতি করে, ইসলামের প্রচারের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায় সেই বিশ দলীয় জোটের কর্ণধার বিএনপিকে কোথাও গাজায় হামলার বিরুদ্ধে কোন কর্মসূচি নিতে দেখা যায়নি। কারণ গতবছর মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসে বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের অনুরোধ জানিয়ে খালেদা জিয়া যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সেটা ছাপানোর জন্য তিনি ইহুদি লবির সাহায্য নিয়েছিলেন।”
“সেই কারণে কৃতজ্ঞতাবশতঃ বিএনপি এখন এই বিষয়ে নীরব।”
গাজায় হামলা বন্ধের জন্য ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী আরবের মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা এই ন্যাক্কার জনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
“পাশাপাশি ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলোর উদ্দেশ্য বলছি, হাত গুটিয়ে চুপচাপ বসে থাকবেন না। এই হামলা বন্ধের জন্য কর্যকর ভূমিকা গ্রহণে সচেষ্ট হোন।”
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগের নেতা আব্দুল করিম, স্বাধীনতা পরিষদের নেতা মমতাজ হোসেন প্রমুখ।