যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে শনিবার দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নূর (নূর চৌধুরী) কানাডায়, রাশেদসহ (রাশেদ চৌধুরী) কয়েকজন আমেরিকায়। এটা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) ওপর নির্ভর করছে।”
“তারা গণতান্ত্রিক দেশ। নির্বাচন হলো কী, হলো না- তা তারা নিক্তি দিয়ে মাপে। আবার খুনিদের আশ্রয় দেয়। এটাই তাদের দ্বৈতনীতি”
আরেক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর দ্বৈতনীতিরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে না, আর অন্যদিকে বিএনপি কেন ক্ষমতায় আসছে না- তা নিয়ে মায়াকান্না। এই দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য সফর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাজ্য সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
গার্ল সামিটে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর তিন দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গার্ল সামিটে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আমন্ত্রণে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান শেখ হাসিনা।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই ছিল যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফর।
লন্ডনে পৌঁছানোর পরদিন মঙ্গলবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।