শুক্রবার রাতে নগরীর সদর রোডের “ডা. মোখলেছুর রহমান ক্লিনিকে” এ ঘটনায়
পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসক রফিকুল বারীকে আটক করেছে।
মৃত রোগী কেরামত আলী (৬০) বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডা. রফিকুল বারী তার স্বজনদের জানান, রোগীর পেটে কিডনির পাশে টিউমার হয়েছে। এজন্য তার পেটে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
শুক্রবার রাতে অস্ত্রোপচারের সময় অপারেশন থিয়েটারেই রোগীর মৃত্যু হয়।
এসি মাহমুদ হাসান বলেন, “চিকিৎসককে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
মৃত রোগীর ছেলে মামুন মৃধা জানান, তার বাবা বেশ কিছু দিন ধরে পেটে ব্যাথায় ভুগছিলেন।
ওই সময় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন রফিকুল বারীকে দেখানো হয়।
তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ খেতে দেন। তার দেয়া ওষুধ খেয়ে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয়।
এসময় চিকিৎসক তাদের জানান, রোগীর পেটে কিডনির পাশে টিউমার হয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে।
মামুন মৃধা জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে ২২ হাজার টাকা চুক্তিতে গত ২১ জুলাই তার বাবাকে ডা. মোখলেছুর রহমান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
ক্লিনিকে ভর্তির পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে ঈদের পরে অস্ত্রোপচারের কথা বলেন তারা। কিন্তু চিকিৎসক রফিকুল বারীর চাপের মুখে পড়ে অস্ত্রোপচারে বাধ্য হন তারা।
মামুন অভিযোগ করে বলেন, “বাবার হার্টের রোগ ছিলো না হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জাকির হোসেন এ কথা বলেছিলেন।”
এনেসথেশিয়ার চিকিৎসক আবির হোসেন ও রফিকুল বারীর অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় তার বাবা মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে চিকিৎসক রফিকুল বারী বলেন, “অপারেশন থিয়েটারে রোগী প্রবেশ করানো পর তার ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়ে তিনি মারা যান। এটি একটি দুর্ঘটনামাত্র।”