যাদুরচর ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়। তবে, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ জানান, যাদুরচর ইউনিয়নের ৭ হাজার ৫২০ পরিবারের জন্য ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এক হাজার ৫০৪ বস্তা ( প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) চাল বরাদ্দ হয়।
ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন গত ১৯ জুলাই ওই চাল উত্তোলন করেন এবং ২০ জুলাই থেকে বিতরণ শুরু করেন।
বিতরণের এক পর্ায়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চালের জন্য অপেক্ষমান দরিদ্রদের চাল শেষ হয়ে গেছে বলে জানানো হয়।
এরপর বিতরণ কাজে নিয়োজিত উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবু সাঈদ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল কবির চলে যান।
এতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউএনও আব্দুল হান্নানকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন।
এসআই জানান, অভিযোগ পেয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাখাওয়াত হোসেন ও এসআই আবু হানিফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাত ৯টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়।
তল্লাশির এক পর্ায়ে ইউনিয়ন পরিষদের তালাবদ্ধ শৌচাগারের ভিতর থেকে ৪৭ বস্তা চাল পাওয়া যায়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পরে উদ্ধার করা চাল স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি আব্দুল মমিনের জিম্মায় রেখে আসে।
এ ঘটনার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন গা ঢাকা দেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এসআই আবু হানিফ আরো জানান, এ ঘটনায় রৌমারী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হান্নান জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের মোবাইল ফোনে (০১৯৩৩২৮৫৭৬০) যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।