শুক্রবার বিকালে বেবী মওদুদের মৃত্যুর খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে বন্ধুর মরদেহের পাশে তিনি কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
বেবী মওদুদের দুই ছেলে রবিউল হাসান অভী ও শফিউল হাসান দীপ্তকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। সব সময় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিনের বন্ধুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন।”
বেশ কিছুদিন ক্যান্সারে ভুগে শুক্রবার হাসপাতালে মারা যান বেবী মওদুদ। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
লন্ডন যাওয়ার আগে গত ১২ জুলাইও হাসপাতালে গিয়ে বেবী মওদুদের পাশে কিছুটা সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেবী মওদুদের মৃত্যুতে জাতি এক নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও লেখককে হারালো।
“তার মৃত্যুতে আমি আমার দীর্ঘদিনের একজন প্রিয় বন্ধুকে হারিয়েছি”।
বেবী মওদুদের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসেন তার জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন ও বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
বেবী মওদুদ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের ২৩ জুন, কলকাতায়।
ঊনিশশ ষাটের দশক থেকে সাংবাদিকতায় জড়িত বেবী মওদুদ দৈনিক সংবাদ, বিবিসি, দৈনিক ইত্তেফাক, বাসস ও সাপ্তাহিক বিচিত্রায় দীর্ঘদিন কাজ করার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে যোগ দেন।
নবম জাতীয় সংসদে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।