নিহত জহুর আহমদ (৪০) সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের ফয়জুল ইসলামের ছেলে। তিনি ভোলাগঞ্জের গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই রেজাউল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রেলওয়ে রজ্জুপথের সংরক্ষিত এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করতে গেলে আনসার সদস্যদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বৃহস্পতিবার রাতে ৫/৬ জন শ্রমিক সংরক্ষিত ওই এলাকায় পাথর উত্তোলন করতে গেলে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বাধা দেয়। এ সময় আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে আক্রমণ চালায় শ্রমিকরা। আনসার সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে জহুর আহমদ গুরুতর আহত হন বলে জানান এসআই রেজাউল।
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে জহুরের সহকর্মীরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ কে এম আজাদ জানান, "জহুরের পায়ে গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।"