যাত্রাবাড়ীতে ফিলিং স্টেশন উচ্ছেদে বাধা কাটলো

যাত্রাবাড়ীতে প্রস্তাবিত ‘আট লেনের মহাসড়কে’র সীমানার মধ্যে পড়া একটি ফিলিং স্টেশন উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2014, 12:35 PM
Updated : 24 July 2014, 12:35 PM

বৃহস্পতিবার একটি রিটের শুনানির এক পর‌্যায়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

মেসার্স চৌধুরী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট নামে যাত্রবাড়ী ফ্লাইওভারের পার্শ্ববর্তী ওই ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন দুই সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান ও বিলকিস বানু।

পরে আমাতুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই আদেশের ফলে ফিলিং স্টেশনটি উচ্ছেদে কোনো বাধা রইলো না। এর মাধ্যমে আট লেনের সড়ক নির্মাণের পথ সুগম হলো।

দশমিক দুই সাত একরের উপর গড়ে তোলা ফিলিং স্টেশনের ওই জমিটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। একটি ফিলিং স্টেশন করার জন্য ১৯৯৩ সালে মেসার্স চৌধুরী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটকে জমিটি দেয়া হয়, যা নবায়ন হয় ২০০৪ সালে।

আমাতুল করিম বলেন, ইজারা গ্রহণকারীরা নানা শর্ত ভঙ্গ করে আসছিলো। এরমধ্যে যাত্রাবাড়ীর ওই সড়কটি আট লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ২০১২ সালে সরকার ওই ইজারা বাতিল করে।

“বাতিলের আদেশে বলা হয়, আট লেনে উন্নীত হলে এখা্নে ফিলিং স্টেশন করার মতো জমি থাকবে না। তাই তাদের ওই জায়গা ছাড়তে বলা হয়।”

এই আদেশের বিরুদ্ধে ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টে আসে। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি হাই কোর্ট রুল জারি করে সংশ্লিষ্ট ভূমি থেকে ইজারা গ্রহীতাদের উচ্ছেদে দেয়া নোটিশ স্থগিত করে দেয়।

ওই স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে সম্প্রতি রিট আবেদন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তার শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ বাতিল করে দেয়।

তবে যে উদ্দেশ্যে (আট লেনের মহাসড়ক) ইজারা বাতিল করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো কাজে এই জমি ব্যবহার না করতে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে বলে আমাতুল করিম জানান।