রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করবোই: হাসিনা

ছয় বছর আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাজ্য প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2014, 05:11 PM
Updated : 23 July 2014, 05:11 PM

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যুক্তরাজ্য সফরে বুধবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি বলেন, “আমরা ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়ন করবোই। বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হবে।”

২০০৮ সালের শেষ দিকে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে রূপকল্প-২০২১ তুলে ধরে বলা হয়, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তিতে বাংলাদেশকে জনগণ যেভাবে দেখতে চায়- সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভিশন-২০২১ শিরোনামে ২৩ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এর মধ্যে পাঁচটি বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় আওয়ামী লীগ। সেগুলো হলো- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ, বৈষম্য রুখে দারিদ্র বিমোচন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

লক্ষ্যপূরণে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার আমলে বিদ্যুতের উন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার পুরোটাই উৎপাদনের ঘটনাও ঘটছে।

আগের বিদ্যুৎ সংকটের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি আমলে এর কোনো উন্নতিই হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে। তারা দেশের মানুষকে বিদ্যুতের বদলে খাম্বা দিয়েছে।”

গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতিহারে ভিশন টোয়েন্টি ফোরটি ওয়ান তুলে ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

“ভিশন টোয়েন্টি ফোরটি ওয়ানের লক্ষ্য হলো-বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

লন্ডনের হিল্টন পার্কলেনে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে এই সাক্ষাতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে ও শিশু শ্রমের মূল কারণ হলো দারিদ্র্য। আর তা দূর করতে ব্যাপক কাজ হচ্ছে।

“শ্রমিক আইনকেও নতুন করে সাজানো হয়েছে। সরকার শিক্ষার উপরেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে।

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনই তা জানতেন। সমুদ্রসীমা জরিপের জন্য বিলেত থেকে জাহাজও কেনা হয়।”

নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা আমাদের কূটনৈতিক সফলতা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে আমাদের। সরকার পরিবর্তন হবে, কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকবেই। বাংলাদেশের নীতি হলো- কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।”

সাক্ষাতের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, কলামনিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।