সহকারী কমিশনারের লাশ উত্তোলন

ছয় মাস পর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নিহত সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিদিয় মারডীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2014, 04:26 PM
Updated : 23 July 2014, 04:26 PM

গাইবান্ধা ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার ধামইরহাটের বেনীদুয়ার মিশন পাড়ার কবর থেকে তার লাশ তোলার পর ময়ন্তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, গত ৯ জুন গোবিন্দগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য এসি (ল্যান্ড) অবিদিয় মারডীর লাশ তোলা হয়।

নিহতের বড় ভাই সামসং মারডী সাংবাদিকদের জানান, গত ৯ ও ১০ জানুয়ারি নওগাঁর ধামইরহাটে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয়।

এরপর ১১ জানুয়ারি নিজ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখতে আসেন ধামইরহাটের বেনীদুয়ার মিশন পাড়ার প্রয়াত যোসেফ মারডীর ছেলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিদিয় মারডী।

বাড়ীর পরিস্থিতি দেখে ফেরার পথে গোবিন্দগঞ্জের ফাসিতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলেও বিষয়টি থানায় সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখ করে থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৭, তাং-১১/০১/১৪।

পরবর্তীতে নিহতের বড় ভাই সামসং মারডী হত্যার অভিযোগ এনে ১৩ মার্চ ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নং-৬২০।

বিভিন্ন সময় পরিবার ও বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন বিচারের দাবিতে তদন্তের স্বার্থে আন্দোলন করেছে।

সামসং মারডী আরো জানান, তার ছোট ভাই গোবিন্দগঞ্জের কিছু ভূমি জবর দখলকারী ও প্রভাবশালী মহলের চক্রান্তের শিকার।

তারা এই ময়নাতদন্তে প্রভাব খাটাতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ ইউএনও মামুন উল হাসান, ধামইরহাট ইউএনও হেমায়েত উদ্দিন, নওগাঁ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, গাইবান্ধার ওসি মেহেদী রাসেলসহ পুলিশ, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও কয়েকশ গ্রামবাসী।