বিচারপতি আলতাফের স্থায়ী নিয়োগের রিট আবেদন গ্রহণ

এবিএম আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দিতে করা রিট আবদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2014, 03:43 PM
Updated : 23 July 2014, 03:43 PM

বুধবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান আবেদনটি গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক করেন।

আবেদনটি উপস্থাপনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা রিটটি উপস্থাপন করেছি। আদালত তা ‍শুনানির জন্য গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য‌ করে দেয়। ওই দিন শুনানির জন্য রিটটি কারর্যতালিকায় আসবে।”

গত ৬ জুলাই ইদ্রিসুর রহমান একই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে এই নোটিস পাঠান।

ওই নোটিস অনুসারে ব্যবস্থা না নেয়ায় এই সপ্তাহের প্রথমদিকে এই আবেদন দায়ের করা হয়।

অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই বিচারককে বাদ দিয়ে তার পাঁচ সতীর্থকে গত মাসের প্রথম দিকে স্থায়ী করা হয়। ২০১২ সালের ১৪ জুন আলতাফসহ মোট ছয় জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

বাদ পড়া এই বিচারক সম্পর্কে নোটিসে বলা হয়, আকর্ষণীয় শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনে আইনজীবী ও বিচারক হিসাবে তিনি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

দ্বৈত বেঞ্চের বিচারক হিসাবে তাদের দেয়া অনেক রায় ‘রায় জার্নাল’ ডিএলআর ও বিএলসিতেও স্থান পেয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে দুই বছর মেয়াদ শেষের পূর্বে প্রধান বিচারপতি অন্য বিচারকদের মতো তারও ১০টি রায় পর্যালোচনা করেছিলেন।

সবার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে নিয়োগ দিতে প্রধান বিচারপতি সুপারিশ করলেও কোনো কারণ উল্লেখ না করেই রাষ্ট্রপতি তাকে বাদ দিয়ে বাকি ৫জনকে নিয়োগ দেন বলে নোটিসে উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে ১৯৯৬-০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পাওয়াদের চারদলীয় জোট স্থায়ী নিয়োগ দেয়নি।

ইদ্রিসুর রহমানই আদালতে মামলা করলে রায়ে ১১ বিচারপতি হাই কোর্টে স্থায়ী হিসাবে নিয়োগ পান। তবে তারা জ্যেষ্ঠতা পাননি।