বুধবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
ওই চার আসামিসহ ৫ জনকে বিচারিক আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। এরা হলেন- মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরী।
রাষ্ট্রপক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন ও আসামিদের আপিল শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেয়। এরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
সেলিম চৌধুরীর খালাস এবং আল আমীন, আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামের দণ্ড কমিয়ে দেয়া হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
পরে মুরাদ রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে গিয়েছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এবার শুনানি হবে।”
একইসঙ্গে আপিল বিভাগ পলাতক আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ এবং আত্মসমর্পণ না করলে তাকে গ্রেপ্তারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।