রিমান্ড শেষে কারাগারে হান্নান ফিরোজ

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা  এ কে এম এনামুল হক শামীমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এম এ হান্নান ফিরোজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2014, 12:41 PM
Updated : 23 July 2014, 12:41 PM

দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার স্ট্যামফোর্ডের সাবেক উপাচার্য হান্নানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা  হান্নানের জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে তা নাকচ করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জামিন আবেদনে হান্নানের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “আগামী ১৭ অগাস্ট হান্নানের মেয়ের বিয়ে। এজন্য আদালত তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিতে পারেন।

“তাছাড়া অসুস্থ আসামি কারাগারে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার হৃদযন্ত্রের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়েছে। জামিন না পেলে কারাগারে তিনি মারাও যেতে পারেন।”

এ সময় তিনি হান্নানের মেয়ের বিয়ের দাওয়াতপত্র আদালতে দাখিল করেন। হান্নানের মেয়ের হবু জামাতা ব্যারিস্টার শোয়েব আহমেদ ফরহাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি নিয়ে বিচারক আলমগীর কবীর রাজ জামিনের আবদন নাকচ করে হান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রথম দফায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে গত সোমবার হান্নান ফিরোজকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে তাকে দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের হেফাজতে পাঠায় আদালত।

গত ১৬ জুলাই ভোররাতে হান্নানকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম পরিচালক এনামুল হক শামীম গত ১৯ জুন সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালের পাশে হামলার শিকার হন।

হামলাকারীদের ছোড়া গুলি তার বাঁ হাতে লাগলে প্রথমে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পরদিন শামীমের চাচা নাসির উদ্দিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

এরপর গত ৭ ও ৮ জুলাই পৃথক অভিযানে ওই হামলায় জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাব। তাদের মধ্যে রানা হাওলাদার নামে একজন শামীমের উপর হামলার ঘটনায় ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে ওই হামলায় হান্নান ফিরোজের সম্পৃক্ততার কথা বলেছিলেন তিনি।