আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ বুধবার শুনানি মুলতবির এই আদেশ দেয়।
আদালতে কামারুজ্জমানের পক্ষে শুনানি করেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনিই এই মামলার প্রথম থেকে বিভিন্ন নথিপত্র পড়ে আসছিলেন, গত ৮ জুলাই যা শেষ হয়। মামলাটি বর্তামনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর্যায়ে রয়েছে।
এ মামলায় কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনিই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে কামারুজ্জামান গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। গত ৫ জুন থেকে এ বিষয়ে শুনানি চলছে। তবে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হওয়ায় প্রসিকিউশন এ মামলায় আপিল করেনি।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে হত্যা ও গণহত্যার দুটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আর দুটি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একটিতে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এর আগে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল শুনানি হয়। এর মধ্যে মোল্লাকে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড দেয়, যা গত ১২ ডিসেম্বর কার্যকর করা হয়।
সাঈদীর আপিলের শুনানি গত ১৬ এপ্রিল শেষ হয়, যা এখন রায়ের অপেক্ষায়। সাঈদীর আপিলের শুনানি শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর।