হাসিনার ‘প্রশংসায়’ ইউনিসেফ

কন্যাশিশুদের রক্ষায় পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ শিশু সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেইক।

রিয়াজুল বাশার লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2014, 03:13 PM
Updated : 22 July 2014, 03:14 PM

লন্ডনে গার্ল সামিটের ফাঁকে মঙ্গলবার ইউনিসেফ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বাল্যবিয়ে ও খৎনা বন্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের সহআয়োজক ইউনিসেফ।

ডেভিড ক্যামেরনের আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে অংশ নেন শেখ হাসিনা। তিনি ক্যামেরনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।   

লন্ডনে ওয়ালওয়র্থ একাডেমিতে গার্ল সামিটের এক ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্থনি লেইক।

তিনি শেখ হাসিনাকে ‘উদার প্রগতিশীল বিশ্ব নেতার প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান।

“শিশু অধিকার রক্ষায় বিশেষ করে মেয়ে শিশুর অধিকার রক্ষায় মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা এবং বৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রসংশা করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক।”

প্রেসসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়নে অর্থাৎ শিশুর পুষ্টি, শিক্ষা ও অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফের বিশেষ অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। তাছাড়া ইউনিসেফের বাজেটে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানান।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালকও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রসংশা করেন।

শামীম চৌধুরী বলেন, “সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যপূরণে (এমডিজি) বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রসংশা করে অ্যান্থনি লেইক বলেন, ‘যখন আমি এমডিজি চার্ট দেখি তখন সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গ্রিন দেখি’।”

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার করেছেন তারও প্রসংশা করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক।

“এবং প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি,” বলেন প্রেসসচিব।

লেইকের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডেসমন্ড সোয়ানে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ‘লো কস্ট এনার্জি সল্যুশনস’ এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিএফআইডির সহায়তার জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রেসসচিব বলেন, এসময় ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীও এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং নারী উন্নয়ন, কন্যাশিশুর শিক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণে ডিএফআইডির সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।