মঙ্গলবার বিকালে ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে মোহাম্মদ হাসানের বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়।
মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১৩ বছর বয়সী হাসানের হাত-পা বাঁধা ছিল বলে ডেমরা থানার পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হাসানকে ১০ জুলাই বিকালে কোনাপাড়ায় তার বাড়ির পাশ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
এরপর হাসানের বাবা গাড়িচালক আনোয়ার হোসেন আনুর মোবাইলে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটি পরে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় হাসানকে হত্যা করা হয়। শ্বাসরোধে হত্যার পর রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে বস্তার ভরা হয়েছিল।
হাসানের বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা চেয়েছিল অপহরণকারীরা। পরে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে মাওয়া ঘাটে যেতেও বলা হয়েছিল।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, “গোয়েন্দা পুলিশসহ মাওয়া ঘাটে আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিল। কিন্তু অপহরণকারীরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।”
এরপর কয়েকদিন আর হাসানের বাবার সঙ্গে অপহরণকারীরা যোগাযোগ করেনি।
দুদিন আগে তারা আবার যোগাযোগ শুরু করলে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে বেলাল ও শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে উপকমিশনার জানান।
তিনি বলেন, এ অপহরণের ঘটনায় কারা কারা জড়িত ছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের জন্য হাসানের লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।