যুদ্ধাপরাধের বিচারে বিশেষ আপিল বেঞ্চ চান তুরিন

আপিল বিভাগে বিশেষ বেঞ্চ গঠনের মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের আপিলে দীর্ঘসূত্রতা কাটতে পরে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2014, 02:00 PM
Updated : 21 July 2014, 02:00 PM

সোমবার কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই মত ব্যক্ত করেন তিনি।

তুরিন বলেন, “আমাদের দেশের যুদ্ধারাধীদের বিচারের কাজ ট্রাইব্যুনাল করলেও আপিল হয় সর্বোচ্চ আদালতে। যেহেতু এটির একটি ‘বিউটি’ আছে, সঙ্গে এর একটি ছোট সমস্যাও রয়েছে।

“যে আপিল বিভাগ এই মামলা শুনছেন, তারা কেবল এই (যুদ্ধাপরাধের) মামলার শুনানিই করছেন না। তারা একই সঙ্গে অন্যান্য মামলার শুনানিও করছেন।

“তবে আমরা আশা রাখবো, এই সমস্যাটির সমাধানে যদি এমন একটি আপিল বেঞ্চ করা হয়, যে আপিল বেঞ্চটি শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধ বিচারের আপিল শুনানি করবে, তাহলে ৬০ দিনের সময়ও আমাদের লাগবে না। আরো কম সময়ে মামলার রায় আপিল বিভাগ থেকে পাবো।”

মতপার্থক্যের প্রভাব কাজে নেই

‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-দীর্ঘসূত্রিতার বিপদ’ এই আলোচনা সভায় বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের মতপার্থক্যের প্রসঙ্গও।

এবিষয়ে তুরিন আফরোজ বলেন, “প্রসিকিউশন অফিসের অনেকের কথা এসেছে, যা আমার জন্য অপ্রস্তুতের। মিডিয়ার কল্যাণে ঘরের কথা বাইরের অনেকেই জানে। প্রসিকিউশনের কথা নানা রকমভাবে আছে।

“একটি কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের কোনো এমন কোনো ইনস্টিটিউট নেই যেখানে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে মতানৈক্য হয় না। এটা হবে। দুটো মানুষ, দুটো ভাই, দুটো বোন, একটি পরিবারের ভেতরেও কিন্তু মতের পার্থক্য হয়।”

তবে এই মতপার্থক্যের কারণে ট্রাইব্যুনালের পেশাগত কাজে কোনো প্রভাব পড়ছে না বলে জোর দিয়ে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “অন্তত পক্ষে এতটুকু গ্যারান্টি আমি আপনাদেরকে দিতে পারি, আমাদের ভেতরে যদি সামান্য কিছু মতপার্থক্য থেকেও থাকে। সেটা কোনোক্রমে আমাদের পেশাগত কাজকে কোনো রকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না।

“আমরা একসাথে দাঁড়াই, প্রসিকিউশন টিমের যে কারো হার একজনের হার নয়। আমাদের হার, আমাদের সকলের হার, এই জাতির হার। এটুকু মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।”

কর্নেল তাহের সংসদের সভাপতি হায়দার আকবর খান রনোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।