কচুয়া থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে রাতেই দুই জনকে আটক করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
আটককৃতরা হলেন, নাউলা গ্রামের নোয়া বাড়ির মো. আবদুস ছোবহানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন (৩২) ও একই গ্রামের মুন্সি বাড়ির লনি মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (২৮)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খোকন মিয়া, মানিক মিয়া, আবু সুফিয়ান, জয়নাল আবেদীন, সফিক ও জাকির হোসেন।
কুমিল্লার বড়ুয়া উপজেলার মহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই দম্পতি ছয় মাস ধরে কচুয়া উপজেলার নাউলা গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শনিবার দুপুরে আমির হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, খোকন মিয়া, মানিক মিয়া, আবু সুফিয়ান, জয়নাল আবেদীন, সফিক ও জাকির হোসেন ওই দম্পতির ঘরে ঢুকে বিয়ের কাবিননামা দেখতে চায়। এ সময় তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে মারধর করে অন্য একটি ঘরে বেঁধে রাখে।
পরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই গৃহবধূকে ফেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
অসুস্থ অবস্থায় ওই গৃহবধূ স্বামীর হাতের বাঁধন খুলে দিলে তারা দুজনেই স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।