রোববার রাত ৮টার দিকের এই ঘটনায় আহতরা হলেন, ওলিউল্লাহ (২২),জুবায়ের (২৩), মোবারক (২২) ও রেজাউল করিম (২৩)।
আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের মহানগর দক্ষিণের আজীবন বহিষ্কৃত নেতা মহসিনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন বহিরাহত যুবক আল্লামা কাশগরী হলের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে তাদের আহত করেছে।”
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান শফিক।
হামলাকারীদের সঙ্গে হলের ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরাও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আলিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারি রাকিব মাহমুদ।
তিনি বলেন, “তিন বছর আগে আমাদের এখানে ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছিল। গত রোজার ঈদে আল্লামা কাশগরী হলের শিক্ষার্থীরা ঈদে বাড়ি চলে গেলে মহানগর দক্ষিণের সহ সম্পাদক মহসিনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন হলে প্রবেশ করে দারোয়ানকে মারধর করে হলের চাবি নিয়ে নিয়েছিল।
“এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মহসিনকে আজীবন বহিষ্কার করে।”
আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক জানান, আলিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্মের কারণে ৫/৭ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো।
তারা মহসিনের সঙ্গে যোগ দিয়ে বহিরাগত যুবকদের নিয়ে রোববার রাতে আবারে হলে সহিংস হামলা ঘটিয়েছে বলে তার অভিযোগ।
আহতরা মাদ্রাসাটির ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলেও জানান তারা।
আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক আহমেদ শরীফ বলেন, হল দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুটিপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার পর সেখানে যায়। কেউ গুরুতর আহত হয়েছে এমনটি জানা নাই।
পুলিশের লালবাগ জোনের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আমরা শুনেছি ছাত্ররা নিজেরা ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলো। পুলিশ সেখানে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”