আসামিরা হলেন- মনির হোসেন, হারুন ও মেহেদী হাসান।
আদালতের পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মুহিতুল আলম জানান, রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. তসরুজ্জামান, এসএম আশিকুর রহমান ও ওয়ায়েজ কুরনী খান চৌধুরীর খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক দেন তারা।
এরপর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অপর আসামি নুরে আলমকে দুই দফায় নয়দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে আবারো দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা ৮ আসামির মধ্যে আরো তিনজন রয়েছেন কারাগারে। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম জুয়েল, নূরে আলম সিদ্দিকী, রানা হাওলাদার ও নাজিমুল হক মিঠু। আরেক আসামি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিসি এম এ হান্নান ফিরোজ রিমান্ডে আছেন।
গত সপ্তাহে এই মামলায় প্রথমবারের মতো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রানা হাওলাদার । তার জবানবন্দির ভিত্তিতে ১৬ জুলাই ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হান্নানকে।
গত ৮ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাকি সাত আসামিকে আটক করে র্যাব।
হামলাকারীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করলে বাঁ হাতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শামীমকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরদিন ২০ জুন তার চাচা নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেন। ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে এক অংশীদার এ হত্যাচেষ্টায় জড়িত বলে গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শামীম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অন্যতম পরিচালক। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তার।
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ছেলে শামীম ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) ভিপি ছিলেন।