টিকিটের জন্য রাতভর অপেক্ষা

ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার, তবে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের অপেক্ষা শুরু হয়েছিল আগের রাত থেকেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2014, 10:36 AM
Updated : 20 July 2014, 12:28 PM

কমলাপুর স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে থাকা অনেকেই জানালেন, শনিবার রাত থেকেই তারা কাউন্টারের সামনে মাদুর বিছিয়ে অবস্থান নেন।

রোববার সকাল ৯টায় টিকেট কাউন্টারগুলো থেকে অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়। লাইনের সামনের দিকেই থাকা খুলনার আনোয়ার পারভেজ জানান, টিকেটের আশায় তিনি স্টেশনে এসে বসে আছেন শনিবার সন্ধ্যা থেকে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট ছাড়ছে ধীর গতিতে। এ কারণে সবার দুর্ভোগ বাড়ছে।”

দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট পাওয়া যাবে কি না- সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন অনেকে।

চট্টগ্রামের নাভিদ রহমান বললেন, “আজ টিকিট না পেলে আবার কাল আসতে হবে।”

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদ উপলক্ষে কেবল ঢাকা থেকে প্রতিদিন ১৮ হাজার টিকিট ছাড়া হবে। এর মধ্যে রোববার বিক্রি হয়েছে ২৪ জুলাইয়ের টিকিট।

একইভাবে সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হবে।

২০ থেকে ২৪ জুলাই প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। একজন যাত্রীকে চারটির বেশি টিকিট দেয়া হবে না।

প্রতিবারের মতো এবারও রেলের কর্মচারী-কর্মকর্তা এবং ‘ভিআইপি’দের জন্য মোট টিকিটের শতকরা ৫ শতাংশ কোটা থাকছে।

রেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী,  ঈদের সময় এবার বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনে ১৬৬টি অতিরিক্ত কোচ এবং অতিরিক্ত লোকোমোটিভ সংযোজন করা হবে।

যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করতে রেলকর্মীদের ঈদের ছুটি আগেই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

‘যতোক্ষণ থাকবে, টিকেট দেয়া হবে’

রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর পরপরই রোববার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। এ সময় তিনি লাইনে দাঁড়ানো টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগের কথা শোনেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যাত্রীরা টিকিট দেয়ার সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এখানে যারা টিকেট বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যতোক্ষণ টিকেট থাকবে, ততোক্ষণ টিকেট বিক্রি চলবে।”

ঈদ সামনে রেখে সারা দেশে প্রতিদিনি ৬০ হাজার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

টিকেট বিক্রিতে ধীর গতির অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “টিকেট দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত মেশিনগুলো ধীরগতিতে কাজ করছে। পরের বছর দ্রুতগতির মেশিন দেয়া হবে। আশা করি তখন আর কোনো সমস্যা হবে না।”

পরিদর্শনের সময় অনেকে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, অনলাইনে টিকেট পাওয়ার কথা থাকলেও ওয়েবসাইটের সমস্যার জন্য তা পাওয়া যাচ্ছে না।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, “প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ সমস্যাগুলো দূর করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।”