খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৩টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা মদিনার আমির মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান।
সৌদি আরব বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিমান বন্দরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় দারুল আমান হোটেলে।
বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে এই সফরে রাজকীয় অতিথি হিসেবে সৌদি আরবে অবস্থান করবেন খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা।
শনিবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া। দুবাই থেকে একই বিমানে তার সঙ্গে যোগ দেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে গত ছয় বছর ধরেই যুক্তরাজ্য রয়েছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক। ২০০৮ সালে লন্ডন যাওয়ার পর এটা মা-ছেলের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ।
মারুফ খান কামাল বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুই দিন মদিনায় অবস্থান করবেন। তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে মুনাজাতে অংশ নেবেন।”
মঙ্গলবার মদিনা থেকে বিমানে জেদ্দা এবং ওমরাহ পালন করতে সেখান থেকে সড়কপথে মক্কায় যাবেন তারা।
প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ছাড়াও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুরউদ্দিন আহমেদ নুরু, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, সৌদি আরবে চেয়াপারসনের বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল হক চৌধুরী এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন।
আগামী ২৬ জুলাই রাতে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে তার প্রেস সচিব জানান।