টাঙ্গাইলে চিরনিদ্রায় খ ম ফারুক

সাবেক সহযোদ্ধা ও সহকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিয়ে চিরবিদায় নিলেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী খন্দকার মোহাম্মদ ফারুক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2014, 02:36 PM
Updated : 2 July 2014, 03:32 PM

বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইলের আইসড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই মুক্তিযোদ্ধা।

এর আগে সকাল ১০টায় তার মরদেহ নেয়া হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ইউকসুর সাবেক এই সহসভাপতির (ভিপি) প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বুয়েটে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফারুকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মঞ্জুরুল আহসান খান ও সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামসহ দলের নেতারা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, মহিলা পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, ক্ষেতমজুর সমিতি, কৃষক সমিতি, খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাংসদ খ. ম জাহাঙ্গীর, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান, সুলতান মনসুর আহমেদ, ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ম. তামিম, সিপিবির নেতা রুহীন হোসেন প্রিন্স, অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ প্রয়াত ছাত্রনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর ফারুকের মরদেহ নেয়া হয় নিজের গ্রাম টাঙ্গাইলের আইসড়ায়। আইসড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এই মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়। এ সময় বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তারের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের একটি দল প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সশস্ত্র সম্মান জানায়।

গত ২৯ জুন ব্যাংককে মারা যান আশির দশকে সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ফারুক।

মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংকক থেকে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। ওই দিন বাদ আসর ধানমন্ডি ৭ নম্বরে তার প্রথম জানাযা হয়।