বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল তাকে জামিন দেন।
রাহিদের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলাটি জামিন যোগ্য নয়। কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত ২০০৩ আইনের ১০ ধারায় বর্ণিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার মধ্যে এটির পড়ে না বিধায় জামিন হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ব্যবসায়ীপুত্র রাহিদকে তার বনানীর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৫ জুন মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের সঙ্গে খেলা চলাকালীন স্ত্রী উত্ত্যক্তের শিকার হলে সাকিব মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী বলেন, রাহিদ লন্ডনে আইন শাস্ত্রে পড়াশোনা করেছেন। তিনি এরপর বার অ্যাট ল করবেন। অভিজাত ঘরের এ তরুণ কোনোভাবেই কোনো যৌন নিপীড়ন বা উত্ত্যক্তের সঙ্গে জড়িত নয়।
যদি কিছু ঘটে থাকে তার জন্য অন্যরা দায়ী। তাছাড়া এজাহারে যে ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে তা যৌন নিপীড়নের, অথচ এজাহারের মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে উত্ত্যক্তের।
স্টেডিয়ামের ওই ঘটনার সময় গ্যালারিতে কয়েকজন উত্ত্যক্তকারীকে ধরে পেটান বিসিবির নিরাপত্তাকর্মীরা। বৃষ্টির কারণে তখন খেলা বন্ধ ছিল।
পেটানোর সময় সাকিব নিজেও বিসিবিকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে জামিনের সঙ্গে সঙ্গে মামলার নথিপত্র বিচারক নিজের খাসকামরায় আটকে রাখার কারনে কোন সাংবাদিক নথি দেখতে পাননি।