কোথাও ফাঁক আছে: খুশি কবির

পাঁচ বছরে তথ্য কমিশন সাফল্যের দাবি করলেও জনগণের প্রত্যাশিত সাড়া না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2014, 05:31 AM
Updated : 14 June 2014, 08:22 AM

কমিশনের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার এক আলোচনায় তিনি বলেন, “কোনো এক জায়গায় যেন ফাঁক আছে।

“জনগণের স্বার্থে জবাবদিহিতার একটি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে এ আইনের মাধ্যমে। তথ্য কমিশন যথেষ্ট উদার।

“কিন্তু জনগণের মধ্যে এক ধরনের অনীহা... কেন জানি মনে হচ্ছে, জনগণ মনে করছে এটা ঝামেলা, করে লাভ নেই। একটা পজিটিভ আইন থাকার পর তথ্য চাওয়ার জোয়ার বয়ে যাওয়ার কথা।”

তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরেন খুশি কবির বলেন, আমলাতান্ত্রিক কিছু সমস্যা থাকতে পারে।

তথ্য কমিশন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের যৌথ আয়োজনে এই আলোচনা সভায় তথ্য কমিশনাররা ছাড়াও, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির, রিসার্চ ইনেশিয়েটিভস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, আর্টিকেল নাইনটিনের (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) পরিচালক তাহমিনা রহমান আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

আলোচকদের মধ্যে ছিলেন তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, মোহাম্মদ আবু তাহের, তথ্য কমিশনের সচিব মো. ফরহাদ হোসেন, তথ্য সুবিধাভোগী শেখ আলী আহম্মদ। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ওয়েবসাইট ও একাত্তর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ক্যাসপারস্কি।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ পাস হয়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ২৯ মার্চ তা সংসদে পাস হয়। আইন পাসের পর ওই বছরের ১ জুলাই গঠন করা হয় তথ্য কমিশন।

পাঁচ বছরের সাফল্য তুলে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন,  “এ (তথ্য অধিকার আইন) আইনটি পাসের পর দেশে-বিদেশ থেকে ব্যাপক সাড়া এসেছে। এটা জনগণের আইন। জনগণ এ আইন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর প্রয়োগ হয়।

“সরকার আইনটি করে তথ্য অধিকার পাওয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। ২ বছর লেগে যায় কাঠামোগত সেট আপ (দাঁড় করানো) করতে। ইনফেক্ট, তথ্য কমিশন কাজ করে এ নিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর।”