‘৯৬% তথ্য দিতে পেরেছে কমিশন’

তথ্য কমিশন তাদের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে চাওয়া ৯৬ শতাংশ তথ্য দিতে পেরেছে বলে দাবি করেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2014, 05:18 AM
Updated : 14 June 2014, 07:10 AM

কমিশনের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভায় এই দাবি করেন তিনি।  

পাঁচ বছরের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, “৫ বছরে ৫টি ইউনিট করেছি-এটা বড় সফলতা। প্রথম বছর আমরা ২৫ হাজার ৪১০টি আবেদন পেয়েছিলাম। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৭০ শতাংশ তথ্য দেয়া হয়েছিলো।”

“গত পাঁচ বছরে মোট আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৬১ হাজার। আর এর মধ্যে তথ্য দেয়া হয়েছে ৯৬.৯১ শতাংশের।”

তথ্য অধিকার নিয়ে সচেতনতার জন্যে নানা প্রচারণার কথাও তুলে ধরেন মোহাম্মদ ফারুক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ের এই আলোচনায় তথ্য কমিশনাররা ছাড়াও, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সাবেক আইনমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির, রিচার্স ইনেশিয়েটিভস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, আর্টিকেল নাইনটিনের (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) তাহমিনা রহমান আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচকদের মধ্যে ছিলেন- তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, মোহাম্মদ আবু তাহের, তথ্য কমিশনের সচিব মো. ফরহাদ হোসেন, তথ্য সুবিধাভোগী শেখ আলী আহম্মদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ওয়েবসাইট ও একাত্তর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ক্যাসপারস্কি।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ পাস হয়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ২৯ মার্চ তা সংসদে পাস হয়। আইন পাসের পর ওই বছরের ১ জুলাই গঠন করা হয় তথ্য কমিশন।

পাঁচ বছরের সাফল্য তুলে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন,  “এ (তথ্য অধিকার আইন) আইনটি পাসের পর দেশে-বিদেশ থেকে ব্যাপক সাড়া এসেছে। এটা জনগণের আইন। জনগণ এ আইন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর প্রয়োগ হয়।

“সরকার আইনটি করে তথ্য অধিকার পাওয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। ২ বছর লেগে যায় কাঠামোগত সেট আপ (দাঁড় করানো) করতে। ইনফেক্ট, তথ্য কমিশন কাজ করে এ নিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর।”

যত বেশি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে তথ্য দেয়া তত সহজ হবে বলে জানান তিনি।