ঢাকা সেনানিবাসে বুধবার সকালে ডিজিএফআইয়ের দরবারে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় ডিজিএফআইকে ‘যথেচ্ছ ভাবে’ ব্যবহার করা হয়েছে। এই সংস্থাকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে জাতির কাছে এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। আমরা চাই, এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠুক। প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম সমুন্নত থাকুক, জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস থাকুক।”
সংস্থাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানকে রক্ষা তথা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে সমুন্নত রাখার জন্য সব রকমের হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান লংঘন করে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে এই সংস্থা ব্যবহৃত হয়।”
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত ডিজিএফআই’কে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো এবং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় এর ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ওই বছরের ২০ জানুয়ারি ডাইরেক্টর অফ ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স (ডিএফআই) গঠন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সূচনার পর থেকে সময়ের পরিক্রমায় এই সংস্থার কাঠামোগত এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে ডিজিএফআই পুনরুদ্ধার হওয়া গৌরব আরো বৃদ্ধি করতে পারবে।
দরবারে প্রধানমন্ত্রী ডিজিএফআই সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ভেজাল বিরোধী অভিযোনের পাশাপাশি এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ডিজিএফআইয়ের উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ডিজিএফআইয়ের সদস্যদের ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিরও ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের সরকার প্রথমবারের মতো ডিজিএফআইয়ের সকল স্তরের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য স্ব স্ব মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে বিশেষ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বেতন বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দরবারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরো ছিলেন তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক।