অপহরণের পরপরই সাতজনকে হত্যা করা হয় বলে এই চিকিৎসকরা মনে করছেন।
গত ২৭ এপ্রিল অপহৃত হওয়ার তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে নজরুল ও চন্দন সরকারসহ অন্যদের হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া যায়।
৩০ এপ্রিল রাত থেকে সকালের মধ্যে সাতটি লাশের ময়নাতদন্ত হয় নারায়ণগঞ্জ সদর (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে।
ময়না তদন্তকারী বোর্ডের প্রধান নারায়ণগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন,তারা কাজ শুরুর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা আগে ওই সাতজনকে হত্যা করা হয়।
তার ধারণা, হত্যা করা হয়েছিল শ্বাসরোধে। তবে তার আগে অজ্ঞান করার জন্য মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর লাশ ফেলে দেয়া হয় নদীতে।
৩০ এপ্রিল লাশ ভেসে ওঠার পর তা অর্ধগলিত ছিল বলে নিহতদের চেনা যাচ্ছিল না। পরনের কাপড় এবং ব্যবহার্য জিনিস দেখে তাদের সনাক্ত করেন স্বজনরা।
ইটের বস্তা বেঁধে নদীতে লাশগুলো ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাদের পেটে ছিল ক্ষত, পুলিশ কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, সম্ভবত লাশ যেন ভেসে না ওঠে সেজন্য পেট কেটে দেয়া হয়েছিল।
সাতজনের প্রত্যেককে একই কায়দায় হত্যা করা হয় জানিয়ে ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, দক্ষ-পেশাদার-প্রশিক্ষিত লোক ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড সম্ভব নয়।”
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দুই-একদিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেবেন বলে তিনি জানান।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মূল সন্দেহভাজন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন পলাতক রয়েছেন।
নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম দাবি করেছেন, নূর হোসেন র্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে তাদের মাধ্যমে এই খুন করিয়েছে।
তার এই অভিযোগ তদন্তে র্যাবের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে।