বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভবন ধসের বছরপূর্তিতে বৃহস্পতিবার নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে এই অভিযোগ তোলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিক মারা যান। আহত হন অনেকে।
নিহতদের জন্য নয়াপল্টনে জাতীয়বাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ হয়, যাতে বিএনপি নেতারাও অংশ নেন।
ফখরুল বলেন, রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনাটি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা হিসেবে বিশ্বে চিহ্নিত হয়ে আছে।
“এই ঘটনায় নিহত-আহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য যে বিশাল পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ এসেছে, ওই অর্থের অপব্যবহার হয়েছে। অনেক শ্রমিক পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি। অনেক পঙ্গু শ্রমিকের জীবন দুর্বিষহ।”
বিএনপি আগে থেকে এই অভিযোগ করে এলেও তা প্রত্যাখ্যান করছে সরকার।
রানা প্লাজা ধসকে ‘পুঁজি’ করে আওয়ামী লীগ ‘রাজনীতি’ করতে চেয়েছিল দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।
রানার প্লাজা ধসের পাশাপাশি তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের সার্বিক অবস্থা আজ ভালো নেই।
“এই ধরনের ট্র্যাজেডি যাতে না ঘটে, সেজন্য দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে,” বলে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে নামতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী,মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সভানেত্রী শ্যামা ওবায়েদও বক্তব্য রাখেন।
সবার বক্তব্যের পর রানা প্লাজায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।