বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৬ ছাত্র।
এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মাইনুদ্দিন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র প্রসেনজিৎ, অর্থনীতি বিভাগের ইমরান হোসেন, আইন বিভাগের জাহাঙ্গীর ও তানভির, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মোসাদ্দেক হোসেন এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল।
এদের মধ্যে মোসাদ্দেককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাইনুদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরমান হেলালী ও সাংগঠনিক সম্পাদক তুষারের সমর্থকরা দুপুর ১টার দিকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
“পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করে।”
এদিকে আটকদের ছেড়ে দেয়ার দাবিতে দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। তারা ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী শাটল ট্রেন ছাড়তে বাধা দেয়।
ফটকে তালা থাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী কয়েকটি বাসও আটকা পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে তালা খুলে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।