বর্তমানে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএসটিসি) পরিচালক (প্রশাসক) হিসাবে কর্মরত মিজান এই রায়ের ফলে চাকরি হারাবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে ৪০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করায় মিজানকে এই দণ্ডাদেশ দিয়েছে বিচারপতি শরিফ উদ্দিন চাকলাদার ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ।
২০০৮ সালে আদালতের আদেশ অমান্য করে চালানো উচ্ছেদের অভিযোগের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়া হয়।
রায়ে একইসঙ্গে ভাওয়াল রাজ এস্টেটের কোর্ট অব ওয়ার্ডের ম্যানেজার আব্দুর রউফকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তবে খালাস পেয়েছেন গাজীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার আলমগীর আলম, জয়দেবপুর থানার তৎকালীন ওসি মো. মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহজালাল, আনসার অ্যাডজুটেন্ট পবিত্র কুমার সাহা।
২০০৮ সালের মার্চ মাসে দুই দফায় উচ্ছেদ হওয়া কলিমউল্লাহসহ ৯ পরিবারের আবেদনে এই রায় আসে। তাদের পক্ষে শুনানি করেন মো. খলিলুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভাওয়াল রাজ এস্টেটের জমি দাবি করে বিবাদীরা ৯ পরিবারের মালিকানাধীন ১৫টি টিনশেড ঘর উচ্ছেদ করেছিল।
“উচ্ছেদের ওপর হাই কোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞা ছিল। তা লঙ্ঘন করেই ওই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।”
খালাস পাওয়া সহকারী কমিশনারের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, দেওয়ানি আইনে এই দণ্ড দেয়া হয়েছে। এই আইনে বিববাদীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাস কারাদণ্ড।