পাবনায় অধ্যক্ষের উপর হামলা ঘটনায় মামলা হয়নি

পাবনা শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান খানের ওপর হামলার ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও কোন মামলা হয়নি।

সৈকত আফরোজ আসাদপাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2014, 10:51 AM
Updated : 24 April 2014, 10:51 AM

পাবনা সদর থানার ওসি কাজি হানিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসে নাই। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।

তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “হামলার পর সোমবার রাতে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জালাল উদ্দিন ও তুফান হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

“তারা আমাদেরকে অনেক চমকপদ তথ্য দিয়েছে যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হচ্ছে।”

অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বরে জানান তিনি।

গত রোববার সকাল ১১টার দিকে পাবনা সদর থানার কাছে সেন্ট্রাল গালর্স স্কুলের সামনে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত অধ্যক্ষ মান্নানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অধ্যক্ষকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই হেলিকপ্টারে করে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সেদিনে ওই হামলা শিকার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, “কলেজকে নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতার জের হিসেবে এ ঘটনা ঘটেছে। যা পাবনার সচেতন সবাই বুঝতে পারছেন, কে কাদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

“কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নুর সঙ্গে বিরোধ ছিল সেটা পাবনার সবাই জানে।

 

“কার ষড়যন্ত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাও পাবনাবাসীর কাছে পরিস্কার।”

এখন মামলা হয়নি কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমার পরিবারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়া কেউ নেই। মেয়েরা পাবনার বাইরে থাকে এবং  স্ত্রী আমার সঙ্গে থাকায় মামলা করা হয়নি।

“তবে খুব শিগগিরই মামলা করা হবে।”

তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন আহত অধ্যক্ষের স্ত্রী নাসিমা আকতার রিতা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষ এত খারাপ কাজ করতে পারে আমাদের ধারণা ছিল না।

অধ্যক্ষের অবস্থা এখনো সংকট মুক্ত না হলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে অধ্যক্ষ মান্নানের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিরোধ নেই বলে দাবি করেছেন পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও কলেজটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নু।

হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে তিনি বলেন, “আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কী না সেটাও দেখতে হবে।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কলেজ নিয়ে যে বিরোধ আছে সেটা মূলত আইন মোতাবেক আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

“তাকে আইনগতভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ আইনের মধ্যে থেকেই চলার চেষ্টা করেছি।

“তাকে হত্যা চেষ্টার প্রশ্নই ওঠে না।”