বাতাসে আর্দ্রতা কম ও দখিনা হাওয়ার প্রভাব না থাকায় প্রচণ্ড গরমে হাসফাঁস অবস্থা মানুষের।
গতবছর এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে বছরের এই সময়ে এ ধরনের আবহাওয়াকে স্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আরিফ হোসেন।
তিনি বলেন, “গত চারদিন ধরে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারও বাড়তে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকে। কিন্তু আর্দ্রতা একেবারেই কম থাকলে বৃষ্টির সম্ভাবনাও কমে যায়।
“দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ আরো অন্তত দুই দিন থাকতে পারে। তবে আগামী সোমবারের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পর ধীরে ধীরে তাপমাত্রাও কমতে থাকবে।”
চলতি মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র এবং অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগবালাই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছে এক জন। এক মাসে সারা দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ২৩৯।
বুধবার অন্তত এক হাজার ৩০০ ডায়রিয়া ব্যক্তি আক্রান্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআরবি) গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৭৩০ জন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।
গরমে দূষিত খাবার ও পানীয় থেকে রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এসময় প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শের সঙ্গে প্রতিবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধোয়া ও বাসী খাবার এড়িয়ে চলতে বলেছেন তারা।
আইসিডিডিআরবি,র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী আজহারুল ইসলাম বলেন, “গরম বাড়তে থাকায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গরমে দ্রুত খাবার নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে খোলা খাবারও দূষিত হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে পানীয় ও খাবার খেতে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”