মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের মুখপাত্র ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সোয়াইবুল ইসলাম সোয়েব।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএমএ মহাসচিব ইকবাল আর্সলান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মামলা প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
“তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এখন থেকে কাজে যোগদান করছি।”
ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান সোয়েব।
সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ এনে দুদিন আগে একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে, তার একজন হলেন সোয়েব।
সোমবার ওই মামলার পরপরই মিটফোর্ডের দুই শতাধিক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন, যাতে দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ওই দিন থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। তবে তারা মঙ্গলবারই কাজে ফিরেছেন।
দুটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরুর পর কড়া হুঁশিয়ারি দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি।
স্যার সলিমুল্লাহ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুটি ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দুটি তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটি দুটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
ওই ঘটনায় সোমবার ঢাকার হাকিম আদালতে মামলা করেন একুশে টেলিভিশনের পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম। এতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক শাহিন, শাওন, সোয়েব ও নাইমকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) ১১ মে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
এদিকে একুশে টিভির ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও পাল্টা মামলা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মিটফোর্ড হাসপাতালের উপপরিচালক আবু ইউসুফ বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।