এ প্রবাহ ধরে রাখতে সরকারকে আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়ার সঙ্গে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে দ্রুত ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার তাগিদ দিয়েছে কমিটি।
তিস্তা সঙ্কট সমাধানে বিএনপির দুই দিনের লংমার্চ কর্মসূচির মধ্যে হঠাৎ করেই মঙ্গলবার এই নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, যাকে লং মার্চের সফলতা বলে দাবি করে দলটি।
এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সংসদীয় কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন কূটনৈতিক সাফল্য দাবি করার দিনই পানি প্রবাহ কমে অর্ধেকের নিচে নেমে আসে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পর রমেশ চন্দ্র সেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “কারো আন্দোলনে পানি আসেনি। বিএনপির লং মার্চের ফলে রাজনৈতিক চাপে ভারত পানি ছেড়ে দিয়েছে, এমন ভাবা ঠিক হবে না।
“বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আগামীতে এই পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।”
তিন বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়ার দাবি বিএনপির বিভিন্ন নেতা তুললেও তাতে ভিন্নমত জানান আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য। ।
“আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হতে পারে। কারণ আমাদের সব দিকেই ভারত। আমরা চাই তিস্তার পানিসহ অন্যান্য ইস্যুতে লিয়াজোঁ করে ভারতের কাছ থেকে পাওনা বুঝে নিতে।”
“আমরা যদি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যাই, তাহলে হয়ত ভারতের সঙ্গে আমাদের এই ক্লোজ সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে।”
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে সারাবছর ড্রেজিং চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ বেশি পাওয়ার জন্য তৎপর হতেও মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, তালুকদার আব্দুল খালেক, এ কে ফজলুল হক, ফরিদুল হক খান, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও সেলিনা জাহান লিটা বৈঠকে অংশ নেন।