বুধবার বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নোমান মঈনুদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোখলেসুর রহমান।
আদালত মামলাটি আমলে নিলেও এখনো আদেশ দেননি বলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান।
সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ভূবন চন্দ্র হাওলাদার জানান, একটি বিভাগীয় সভায় যোগদানের জন্য দুপুরে বরিশাল যাওয়ায় বিচারক তাৎক্ষণিকভাবে এ মামলায় আদেশ দিতে পারেননি। বিকালে অথবা আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) আদেশ দিতে পারেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পুলক চন্দ্র রায়, এসআই জাহিদ, এসআই জাফর ও এএসআই বাদল মৃধা।
সদর উপজেলার লতাবাড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোখলেসুর রহমান জানান, গত ২৯ মার্চ তাকে ও তার ছোট ভাই নিজাম উদ্দিনকে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগের একটি মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
কিন্তু ওই মামলার বাদী আমজেদ আলীর কোনো অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর নূরুল হক জানান, মামলার বাদী আমজেদ আলী, পিতা-রুস্তম আলী তার ইউনিয়নের বাসিন্দা দেখানো হলেও ওই নামে তার ইউনিয়নে কোনো লোককে পাওয়া যায়নি।
ওই কারণে পুলিশের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দিলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, ওই মামলায় বাদী ও তার ভাই ১১ দিন হাজতে ছিলেন।