তিস্তার ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপির লং মার্চের মধ্যে মঙ্গলবার এই নদীতে আকস্মিকভাবে পানি প্রবাহ বেড়ে ৩ হাজার কিউসেক ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
তবে ভারত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা তিস্তায় বুধবার সকাল থেকে পানিপ্রবাহ কমতে থাকে।
দুপুর ১২টায় পানির পরিমাণ ১ হাজার ২৪২ কিউসেকে নেমে আসে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিস্তা ব্যারাজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন মণ্ডল।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ব্যারাজ এলাকায় ৩ হাজার ৫০ কিউসেক পানি পাওয়া গিয়েছিল।
“আজ পানি কমে যাওয়ায় ব্যারাজের সব কটি গেইট বন্ধ করে দিয়ে পুরো পানির প্রবাহটাই ঘুরিয়ে সেচ প্রকল্পে নেয়া হচ্ছে।”
ব্যারাজের সব ক’টি গেইট বন্ধ থাকায় রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা রেল ও সড়ক সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো নদীতে এখন হাঁটু পানিও নেই।
তিস্তা রেল সেতু মুখের পানের দোকানি জয়নাল আবেদীন বলেন, “আমার জীবনে তিস্তার এমন চেহারা এর আগে কখনো দেখি নাই।”
নদীতে পানি না থাকায় পাড়ে তুলে রাখা নৌকার মালিক বৃদ্ধ ইয়াছিন আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নদীট্যাক মারি ফেলাইল। হামাকোও মারিল।”
চলতি শুকনো মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে ধূ ধূ বালুচর সৃষ্টি হয় নদীর বুকে। এর মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল একবার ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বেড়ে দেড় হাজার কিউসেকে দাঁড়িয়েছিল।
এরপর পুনরায় কমতে কমতে সোমবার পানি প্রবাহ সাড়ে আটশ’ কিউসেকে দাঁড়ায়। মঙ্গলবার হঠাৎ করে বেড়ে যায় পানি।
তিস্তার পানি কমার জন্য ভারতে দায়ী করে আসা বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছিলেন, তাদের লং মার্চের কারণেই পানি বেড়েছে।
লং মার্চের দ্বিতীয় ও শেষ দিন বুধবার দুপুর ১২টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে সমাবেশ করে বিএনপি, তখন পানি ছিল আগের দিনের অর্ধেকের কম।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,
এ নদীতে গড়ে ৫-৬ হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন হলেও এবার এই মৌসুমে পানি কমতে কমতে ৪৫০-৫০০ কিউসেকে গিয়ে দাঁড়ায়।