রানার অবৈধ সম্পদের প্রতিবেদন শিগগির: দুদক

রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2014, 08:27 AM
Updated : 23 April 2014, 08:27 AM

বুধবার দুদকের মাসিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

গত বছর ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের চার দিন পর ২৮ এপ্রিল রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুদক।

সে সময় এই অনুসন্ধান কাজে নিয়োগ দেয়া হয় দুদকের উপ পরিচালক মফিদুল ইসলামকে।

এক বছর পেরোনোর পরও কেন কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব বলেন, “দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই- এটা সঠিক নয়। দুদকের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগির কমিশনে প্রতিবেদন জমা হবে।”

এক বছর বিলম্ব হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, “দুদক মূলত সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের বিষয়টি অনুসন্ধান করেছে। তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণীর তালিকা দুদকের হাতে রয়েছে,  সোহেল রানার সম্পদ বিবরণী এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। তবে আশা করছি খুব শিগগির তা আমাদের হাতে আসবে।”

এছাড়া সিআইডিও তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

ফয়জুর রহমান বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পক্ষ থেকে রানা প্লাজা ধসের কারণ এবং সোহেল রানার অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুদক ও সিআইডির প্রতিবেদন দুটি সমন্বয় করে শিগগিরই কমিশনে জমা পড়বে।

এদিকে দুদকের এক অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, দুদকের অনুসন্ধানে সোহেল রানার বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ২৩টি হিসাবের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতেন রানা। সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ধসে পড়া ভবন ছাড়াও তার রয়েছে সাভারে তার মালিকানায় রয়েছে ১ টি ৫ তলা আবাসিক ভবন, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একটি দোতলা বাড়ি এবং রানা ব্রিকস ও এম কে ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটা।

এছাড়া সাভার ও তার আশপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভূ সম্পত্তিও রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

রানা প্লাজা ট্রাজেডির চার দিন পর এর মালিক কথিত যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে ২৮ এপ্রিল যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।