নতুন জনবল কাঠামো বাতিলের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে শ্রমিকরা মঙ্গলবার দুপুর ১১টা থেকে খনির প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
বুধবারও অবরোধ অব্যাহত থাকায় কর্মকর্তারা কার্যালয়ের বাইরে আসতে পারছেনা।
এদিকে কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ থাকায় খনিতে মজুদ প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লার স্তুপে পানি দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। পানির অভাবে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে খনি কর্তৃপক্ষ।
খনির জেনারেল ম্যানেজার (মাইন অপারেশন) হাবিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এতে খনির সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। খনির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় খনিতে উত্তোলিত প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লার স্তুপে পানি দেয়া বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তপ্ত কয়লার স্তুপে সার্বক্ষণিক পানি দিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হয়। পানি দেয়া বন্ধ থাকায় প্রচণ্ড তাপে কয়লার স্তুপে যে কোন সময় আগুন জ্বলে উঠে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং খনিতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে
হাবিব উদ্দিন জানান, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা থেকে এসে বিকেলে সমস্যা সমাধানে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াজেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খনি কর্তৃপক্ষ ৭৩৮ জনের নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করেছে। আগের ২ হাজার ৬’শ ৭৪ জনের জনবল কাঠামো বলবৎ রাখার দাবিতে ২০ এপ্রিল খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসায় তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এদিকে যে কোন ধরনের গোলযোগ সামাল দিতে খনিতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।