সাকা চৌধুরীর কৌঁসুলি ফখরুলকে কেন জামিন নয়: হাই কোর্ট

বিএনপি নেতা যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার তার আইনজীবী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2014, 05:38 PM
Updated : 22 April 2014, 05:38 PM

ফখরুলের করা জামিনের আবেদনের শুনানি করে মঙ্গলবার বিচরপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।

চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের খসড়া ফাঁসের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় গত ২০ নভেম্বর সেগুন বাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ১০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী এবং ১৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেন বিচারকের কাছে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফখরুলের পরিকল্পনায় তার সহকারী মেহেদী হাসান পেনড্রাইভের মাধ্যমে রায়ের খসড়া কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন বলে ওই দুই আসামি আদালতকে জানিয়েছেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

গণমাধ্যমে ওই স্বীকারোক্তি প্রকাশের পর ফখরুল হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেও বিফল হন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তবে রায়ের আগেই বিএনপি নেতার স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের সামনে ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত ‘রায়ের কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

এরপর তুমুল আলোচনার মধ্যে ট্রাইব্যুনাল স্বীকার করে রায়ের খসড়া ফাঁস হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ফারুক ও নয়ন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অন্য আসামি ফখরুলের সহকারী মেহেদী এখনো পলাতক।