জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. নাজমুল হাসান খান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক সমাপনীর এ বছরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালায় চূড়ান্ত হয়েছে।
“মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে প্রতি বিষয়ে যোগ্যতাভিত্তিক ৩৫ শতাংশ এবং ট্রাডিশনাল ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে।”
প্রাথমিক সমাপনীতে পর্যায়ক্রমে শতভাগ প্রশ্নই যোগ্যতাভিত্তিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নেপ মহাপরিচালক বলেন, প্রতি বছরই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার বাড়ানো হবে।
২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিল। গত বছর সৃজনশীল প্রশ্ন ছিল ২৫ শতাংশ।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় গত বছর সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা ছাড়াও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার এবার ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
নেপ মহাপরিচালক বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের হার বাড়ানোর ফলে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তা পর্যালোচনা করা হবে।
গত বছর ২০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছিল; যাতে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এইচএসসিতে ২০১২ সালে একটি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হলেও ২০১৩ সালে সাতটি পরীক্ষা সৃজনশীলে হয়।
এবছর এইচএসসিতে ২৫টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হচ্ছে।
আর এসএসসিতে এবার বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া বাকী ২১টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।
অন্যদিকে জেএসসিতে ২০১৩ সালে বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া সব বিষয়গুলোর পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার ফলে পাবলিক পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করে উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ছে বলে দাবি করে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।