সোমবার গভীর রাতে ঢাকার শেরেবাংলা নগর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এবাদত বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বেনাপোল পাটবাড়ি গ্রামের রবিউল হোসেনের ছেলে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান তার মৃত্যুর খবরটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
স্বজনদের অভিযোগ, পৌরসভার একটি টেন্ডারের কাজ পাওয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে।
হাতুড়ি দিয়ে তার সমস্ত শরীর থেতলে দেয়া ও মাথায় আঘাত করা হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, এবাদত হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল পুলিশ ও এবাদতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার সময় এবাদত বেনাপোল বাজারে তার দোকান কামাল ষ্টোরে বসেছিলেন।
ওই সময় দুটি সাদা মাইক্রোবাসে ১০/১২ জন এসে অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের তিন ঘণ্টা পর পুলিশ শার্শার সাতমাইল বাজারের পাশে পড়ে থাকা একটি মাইক্রোবাস থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।
পুলিশ ওই সময় মাইক্রোবাসে এবাদত ছাড়া কাউকে পায়নি।
উদ্ধারের পর তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকার শেরে বাংলা নগর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।