মঙ্গলবার বিকাল ৪টার পর তারা কাজে যোগ দেন বলে হাসপাতালের বিভিন্ন সূত্র জানায়।
তবে এখনো কর্মবিরতিতে রয়েছেন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘাতের জের ধরে সোমবার থেকে দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান।
দুই মেডিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে চিকিৎসকদের সংঘাতের ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার দুটি কমিটি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে ধর্মঘটী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
গত রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেলে এক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের হাতাহাতির খবর পেয়ে সাংবাদিকরা গেলে তাদের ওপর চড়াও হন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। হামলায় ১০ জন সাংবাদিক আহত হন। ভেঙে ফেলা হয় বেশ কয়েকটি টেলিভিশনের ক্যামেরা।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলার পাল্টা অভিযোগ এনে সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতিতে যান রাজশাহীর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
এদিকে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের আসামি করে একটি মামলা করার পর সোমবার দুপুরে কর্মবিরতি শুরু করেন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
মামলার আসামি ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক শোয়াইবুল ইসলাম শোয়েব মঙ্গলবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে আজকেও একটা মামলা হয়েছে। আমরা কিভাবে কাজে যোগ দিব?”
কয়েকদিন আগে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলা শিকার হন একুশে টিভির কয়েকজন সাংবাদিক।