মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন খুলনার রূপসা উপজেলার গোয়াল বাথান গ্রামের দুই সহোদর আব্দুল শেখ ও আব্বাস শেখ, একই গ্রামের আজমল হোসেন, সামন্তসেনা গ্রামের আব্দুর রহমান, পাঁচালী গ্রামের আরিফ শেখ এবং বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মানসা চারাবটতলা গ্রামের মাসুদ রানা। এদের মধ্যে আব্দুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রূপসা উপজেলার গিলাতলা গ্রামের ঠিকাদার ও মাছ ব্যবসায়ী শেখ শফিউজ্জামানের হাত পা বাঁধা গলা কাটা লাশ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মানসা চারাবটতলা গ্রাম থেকেউদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলায় আটক হয়ে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর মাসুদ রাণা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি পূর্ব বিরোধের জের ধরে ‘পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির’ এই সদস্যরা শফিউজ্জামানকে মোবাইল ফোনে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করে বলে স্বীকার করেন।
ফকিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র মালি তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌশলী (পাবলিক প্রসিকিউটর) মোহম্মদ আলী, আসামি পক্ষে ছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।