মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে ১১ জন আসামি জামিন আবেদন করেন। তা না মঞ্জুর করে পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক শেখ মো. মুজাহিদ-উল ইসলাম।
জামিন না পাওয়া অন্যরা আসামিরা হলেন মো. আলম, দেলোয়ার হোসেন, শরীফ উদ্দিন ও আবদুল কাদের। তাদের বাড়ি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।
২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলা করেন।
মামলার এজাহার রয়েছে, জাহাঙ্গীর আলমসহ তার আত্মীয়-স্বজন গোপালপুর মৌজার বেশ কয়েকটি দাগে প্রায় ১২১ শাতাংশ জমি কেনেন।
গত ২০১২ সালের ১৪ জুন সাটুরিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ওই জমির দলিল নিবন্ধন করা হয়।
জমির দলিলে ছয়টি স্ট্যাম্প ও ছয়টি কার্টিজ পেপার ব্যবহার করা হয়। ওই কার্টিজ পেপারে ২০১০ সালের জলছাপ ছিল।
এর কয়েক মাস পর নিবন্ধিত ওই জমির কিছু অংশের ওপর আদালতের ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ পান জাহাঙ্গীর আলম।
এর প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে মুল দলিল সংগ্রহ করেন।
এতে তিনি দলিলের কয়েকটি পৃষ্ঠা পরিবর্তন করে দাতাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে দেখতে পান।
এতে তিনটি পাতায় জমির পরিমাণ ও নকশা বদলানো হয়েছে।
এমন কি পরিবর্তিত ওই তিনটি পৃষ্টায় ২০১০ সালের পরিবর্তে ২০০৯ সালের জলছাপ পাওয়া যায়।
মামলায় বাদি পক্ষে আইজীবী শামসুল হক এবং আসামি পক্ষে জহিরুল ইসলাম ও মোকছেদুর রহমান শুনানীতে অংশ নেন।