অবসরে থাকা ৭ পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতি

আদালতের আদেশে পদোন্নতি পেলেন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ অবসরে পাঠানো ৭ পুলিশ কর্মকর্তা, যাদের একজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2014, 12:46 PM
Updated : 22 April 2014, 12:46 PM

চাকরির থেকে নিয়মিত অবসরে যাওয়ার বয়স পার হওয়ায় তারা এখন অবসরে থাকলেও নতুন পদের বিপরীতে পেনশনসহ প্রাপ্য সুবিধাগুলো পাবেন।

অবসরে থাকা এই কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. রুহুল আমিন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাকে যখন অবসরে পাঠানো হয়, তখন তিনি উপমহাপরিদর্শক ছিলেন।

হাই কোর্টের আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল নুমান স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে গত ১৭ এপ্রিল এই সাতজনকে ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়া হয়।

এই কর্মকর্তাদের রিট আবেদনে ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি হাই কোর্ট এ বিষয়ে রায় দেয়।

রায়ে চাকরির বয়স থাকলে সব প্রাপ্য সুবিধাদিসহ আবেদনকারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে বলা হয়। বয়স অতিক্রান্ত হলে ৩০ দিনের মধ্যে বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে আদালতে লড়েছিলেন মো. সালাহ উদ্দিন দোলন ও মো. ওমর ফারুক।

ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এদেরকে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।

“হাই কোর্টের রায়ের পর তারা চাকরি ফেরত ও সকল সুবিধাদি পাওয়ার আদেশ পান। যার আলোকে তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হল। তবে অবসরের বয়স পার হয়ে যাওয়ায় এখন তারা পদ ও সকল সুবিধাদি পাবেন।”

“ওয়াছেকুজ্জামান (পুলিশ সুপার) রায়ের সময়ও বেঁচে ছিলেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তার এই অর্জন তিনি দেখে যেতে পারলেন না,” বলেন এই আইনজীবী।

পদোন্নতি পাওয়া অন্য কর্মকর্তারা হলেন, উপ-মহাপরিদর্শক মো. আব্দুল মান্নান, পুলিশ সুপার কাজী আনোয়ার হোসেন, আহমেদ আমিন, শাহ আলম শিকদার, মো. মুজিবুর রহমান।

রুহুল আমিনকে ২০০৫ সালে অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক ও ২০০৭ সালে মহাপরিদর্শক পদে ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়া হয়। তিনি ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

আব্দুল মান্নানকে ২০০৫ সালে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তিনি ২০০৬ সালে অবসরে গিয়েছে বলে ধরা হবে।

পুলিশ সুপার ওয়াছেকুজ্জামান খানকে ২০০৩ সালে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, ওই বছরের শেষের দিকে উপ-মহাপরিদর্শক এবং ২০০৬ সালে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তার অবসর ধরা হয়েছে ২০০৭ সাল থেকে।

ওয়াছেকুজ্জামানের মতো পুলিশ সুপার কাজী আনোয়ার হোসেন, আহমেদ আমিন, শাহ আলম শিকদার, মো. মুজিবুর রহমানও অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ও উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ২০০৪ সালেতারা অবসরে গিয়েছেন বলে ধরা হচ্ছে।