মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক এই দিন ঠিক করেন বলে তার আদালতের সেরেস্তাদার নুর আলম জানিয়েছেন।
এই আদালতে ঐশীসহ মামলার সব আসামির বিচার হবে। অন্য আসামিরা হলেন- ঐশীদের গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমি, ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনি।
নুর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুমী অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে তার বিচার হবে শিশু আইনে এবং তা এই জজ জহুরুল হকের আদালতেই হবে।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের হত্যার মামলায় তাদের মেয়ে ঐশীকে আসামি করে গত ৯ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মারুফ হোসেন বিচারের জন্য মামলাটি পাঠিয়ে দেন মহানগর জজ আদালতে।
স্ত্রী, দুই সন্তান এবং শিশু গৃহকর্মী নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ।
ঘটনার পর পলাতক থাকা স্কুলশিক্ষার্থী ঐশী একদিন বাদে পুলিশে ধরা দিয়ে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দেন।
তদন্ত শেষ গত ৯ মার্চ পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এতে বলা হয়, ঐশী নিজ হাতে তার বাবা-মাকে খুন করে। তাকে সহযোগিতা করে সুমি। আর হত্যাকাণ্ডের আগে রনি ও জনির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন ঐশী।